
চট্টগ্রাম ইতিহাস-ঐতিহ্যের নগরী । গর্ব করার মতো এখানকার মানুষের অনেক কিছুই আছে। সেই তালিকায় নতুন যে বিষয়টি যুক্ত হয়েছে তা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে উঁচু ম্যুরাল। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে অক্সিজেন ও কুয়াইশ জংশনে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন এ ম্যুরাল ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ইন্টারনেটে সার্চ করে আমরা দেখেছি ৪২ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল আর নেই। সে হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ। চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের অক্সিজেন-কুয়াইশ জংশনে তিনটি রাস্তার সংযোগ ঘটেছে। তাই আমরা তিন দিক থেকেই যাতে মানুষ বাংলার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দেখতে পারে সে জন্যে তিনটি করে ছয়টি ম্যুরাল স্থাপন করেছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত প্রিয় স্থান। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের জায়গা ছিল চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সহচর ছিলেন চট্টগ্রামের এমএ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এমএ হান্নান প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ছয় দফার ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম থেকে । তার পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্যে বেছে নিয়েছিলেন চট্টগ্রামকে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের মানুষ স্বাধীনতার পরপর জিন্নাহ সড়ককে শেখ মুজিব সড়কে নামকরণ করে ফেলেছিলেন। ৪৪ বছর পর এসে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৬০ ফুট প্রস্থের চার লেনের একটি সড়ক নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ নামকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সুউচ্চ ম্যুরালও স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল বলে জানান। আমরা নতুন নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো। যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা একনজরে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারে। এক প্রশ্নের উত্তরে চউক চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে দেবে। বিশেষ করে হাটহাজারীর কুয়াইশ, বুড়িশ্চর, কাপ্তাই, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, সাতকানিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৫০ লাখ মানুষ এ সড়কের সুফল ভোগ করবে। বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লুপ রোডটি (বাইপাস) যদি হয়ে যায় তবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ মূল শহর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করতে পারবে। এটি আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
কুয়াইশ প্রান্তের ম্যুরালটির উচ্চতা ৪২ ফুট। অক্সিজেন প্রান্তের ম্যুরালটির উচ্চতা ২৬ ফুট। এ ছাড়া কালো মার্বেলের ওপর ধাতব অক্ষরের এবং ট্যারাকোটায় ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ’ লেখা সড়কের নামফলক দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলায় আকর্ষণীয় আলোক সজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে এ ম্যুরালে।
