
চট্টগ্রাম: অজপাড়া গাঁ, গহিন অরণ্যে কিংবা বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকার এক ফার্মেসিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ সব ওষুধ!
শনিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে দেওয়ানহাটের মেম গলির আরকে ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিষয়টি ধরা পড়ে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও ডবলমুরিং থানা পুলিশ অভিযানে সহায়তা দেন।
রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, ওই ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধ ও ইঞ্জেকশন পাওয়া গেছে। সবচেয় বড় কথা, ফার্মেসির আলমারিতে সাজিয়ে রাখা ওষুধের শতকরা ৪০ ভাগেরই মেয়াদ শেষ।
জিজ্ঞাসাবাদে ফার্মেসি মালিক রিপন জানান, এক বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া এসব ওষুধ কোম্পানিকে ফেরত দেওয়ার জন্য সাজিয়ে রেখেছেন। অবশ্য তিনি এর জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
ম্যাজিস্ট্রেট আমিন জানান, ওই ফার্মেসিতে কিছু ওষুধ পাওয়া গেছে যেগুলোর কার্টন বা প্যাকেটে মেয়াদ, উৎপাদনের তারিখ কিছুই মুদ্রিত নাই। কিন্তু ভেতরে ওষুদের মোড়কে হাতে বানানো সিল দিয়ে মেয়াদের তারিখ বসানো হয়েছে। ফার্মেসির লাইসেন্স বা লাইসেন্সের ফটোকপিও দেখাতে পারেননি মালিক।
স্থানীয় সচেতন লোকজন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, রিপনকে সতর্ক করা হলে তিনি বলে বেড়াতেন গলির ভেতরে মোবাইল কোর্ট আসবে না। সমস্যা হবে না।
অভিযানে ফার্মেসি মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ফার্মেসিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের হুমকির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে অননুমোদিত, ভেজাল, নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও সরকারি ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি, লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসি ব্যবসা বন্ধে নগরীতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
