
নিজস্ব প্রতিবেদক : – সম্প্রতি র্ঘর্ণিঝড় ‘রোয়ানুর’ প্রভাবে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে গত মঙ্গলবার জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পটিয়ায় জুলধা ইউনিয়নের জুলধা ডাঙ্গারচর এলাকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় জুলধা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিক আহম্মদসহ জনপ্রতিনিধিরা জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানান, কর্ণফুলী নদীর ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের ৮/১০টি অংশে জোয়ারের পানি ঢুকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সরকারি সাহায্য- সহযোগিতা প্রদানসহ দ্রুত এই বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোডর্, জেলা প্রশাসক ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ শফি, সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম, আবদুস শুক্কুর, বাদশা মিয়া, আবদুর রহমান, আলী আহম্মদ, হাকিম আলী, যুবলীগ নেতা মো. সেলিম, ছাত্রলীগ নেতা রফিক উদ্দীন প্রমুখ ।
চেয়ারম্যান রফিক আহম্মদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বলেন, সম্প্রতিক রোয়ানুর প্রভাবে জুলধা ইউনিয়নের জুলধা ৬,৭,৮ নং ওয়ার্ড ও ডাঙ্গারচর এরাকার ১,২,৩ নং ওয়ার্ড এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্ণফুলী নদীর প্রায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার ৮/১০টি অংশে ভেঙ্গে যায়। সে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে এলাকার ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে যায়। প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত জুলধা ইউনিয়নের জন্য ৮ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দিলেও তা এখনো জনগণ পায়নি। তাছাড়া এলাকার প্রায় ৮টি ইটভাটার মালিকেরা কর্ণফুলী নদীর বেড়িবাঁধের উভয় পাশ থেকে মাটি নিয়ে ইটভাটায় ব্যবহার করার কারণে পাশে বড়বড় গর্ত হয়ে পুকুরে পরিণত হয়। ফলে বাঁধের গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে প্রায় ১ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত । এছাড়া বিভিন্ন মৎস্য পুকুর ও পোল্ট্রি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
