
নিজস্ব প্রতিবদেক । রাউজানটাইমস
আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে বান্দরবানের স্বর্ণ জাদি বা স্বর্ণ মন্দির। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট ও পর্যটকদের দ্বারা মন্দিরের ভক্তদের নানাভাবে হয়রানির কারণে মন্দির কর্তৃপক্ষ গত ২০ ফেব্রয়ারি থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, ১৬ নভেম্বর সকাল ১০ টা থেকে স্বর্ণ জাদিটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে। রবিবার সন্ধ্যায় পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির বাসভবনে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে স্বর্ণ জাদির প্রতিষ্ঠাতা উপঞঞা জোত মহাথেরো (উছহ্লা ভান্তে) সম্মতি দিয়েছেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও জেলা দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক জানান, মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা গুরুভান্তেকে অনুরোধ করা হয় ।
মন্দিরটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়ার। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বান্দরবানের স্বর্ণ জাদিটি খুবই প্রিয় স্থান। কিন্তু মন্দিরটি বন্ধ থাকায় পর্যটকরা ভ্রমণে উৎসাহ পাচ্ছিল না। পর্যটকদের কথা চিন্তা করেই গুরুভান্তেকে মন্দিরটি উন্মুক্ত করে দেয়ার অনুরোধ করা হলে তিনি সম্মতি দেন। মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি বাচ মং মারমা জানান পর্যটকদের জন্য সকাল ১০ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে দুপুরে ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। মন্দিরের পবিত্রতা যাতে নষ্ট না হয় সেই সাথে পূজার্থী ও ভক্তরা যাতে পর্যটকদের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখা হবে। মন্দিরে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবর দান উৎসব থাকায় ১৪ ও ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মন্দিরটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে। ১৬ নভেম্বর থেকেই তা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। উল্লেখ্য ২০০০ সালে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় নেতা উপঞঞা জোত মাহাথেরো বান্দরবান শহরের কাছে পুল পাড়া এলাকায় পাহাড়ের উপর স্বর্ণ জাদিটি নির্মাণ করেন। এটি বৌদ্ধ ধাতু জাদি নামেও বেশ পরিচিত। মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর আদলে এই স্বর্ণ জাদিটি তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরটিতে স্বর্ণের রং থাকায় এটি পর্যটকদের কাছে স্বর্ণ মন্দির নামেও পরিচিত। দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটক বান্দরবানের দর্শনীয় এই স্থানটি দেখতে ভিড় জমায়।
