
রাউজানটাইমস ২৪ ডেস্ক : রেলমন্ত্রী মুহাম্মদ মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম আলাদা রেল লাইনে বুলেট ট্রেন চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে ২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে। সেই সাথে লাকসাম হতে আখাউড়া ৭২ কি.মি লাইনের কাজ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কাজ ধরা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম-দোহাজারী- কক্সবাজার লাইনে রেল চলবে। তিনি বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ ছিল রেলপথ। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা রেলপথের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে, আমূল পরিবর্তনের জন্য ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। সে থেকে নতুন ইঞ্জিন আমদানী, বগি, পুরাতন লাইনের সংস্কার, সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করে রেলপথের আমূল পরিবর্তন সাধনে কাজ করি। দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রেলপথের আমূল পরিবর্তন হবে।
তিনি গতকাল ৬ জানুয়ারি বিকালে ফটিকছড়ির মাইজভা-ার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুদিন ব্যাপি শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, নাজিরহাট লাইনে আরো একটি নতুন ডেমু ট্রেনের ব্যবস্থাসহ ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন এবং এইচ এস সি পর্যন্ত উন্নীতকরণে তার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। সেই সাথে নাজিরহাট-মাইজভা-ার এবং নাজিরহাট- হেঁয়াকো লাইনে রেলপথ চালুর ব্যাপারে একটি ফাইল প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অধিক পরিশ্রমী হবার তাগিদ দেন। উদাহরণে তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় পরপর দুইবার পরজিত হবার পর তিনি কঠোর পরিশ্রমের ফলে পরবর্তীতে টানা তিনবার এমপি হয়েছেন। মানব কল্যাণে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়াত প্রাপ্তির পর হতে বিশ্ব জাহানের মানবের জন্য কাজ করেছেন। মানব কল্যাণই একটি ইবাদত। তিনি বলেন, বিএনপি জোট দেশের ক্ষতি করতে করতে নিজেরা হাটু ভাঙ্গা দলে পরিণত হয়েছে।
মাইজভা-ার দরবার শরীফ জেয়ারত শেষে মন্ত্রী বিদ্যালয় মাঠে আসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম মন্ত্রীকে সাথে নিয়ে বেলুন উঠিয়ে দু’দিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এর আগে সকালে শতবর্ষ উদযাপনের একটি র্যালি বের হয়ে বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। বিকালের আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও আওয়ামীলীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (পিরোজপুর) মুহাম্মদ জাফর আলম, শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা এম নাজিম উদ্দিন মুহুরী।
অধ্যাপক খোরশেদুল ও আজম উদ্দিন শামীমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহীদুল আজিম আজাদ। বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, গোলাপ সবুর দুলাল, নুরুন্নবী চৌধুরী রোশন ও এম মুজিবুল হক।
আজ শনিবার ২য় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি থাকবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী,চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো.সামসুল আরেফিন, পিএচিপি গ্রুপ ও ইউআইটিসিএস’র চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান,কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম, জেলা পরিষদ সদস্য ড. মাহমুদ হাসান ও লেলাং ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী শাহীন। সভাপতিত্ব করবেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহসূফী ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভা-ারী।
