
নিউজ ডেস্ক,রাউজানটাইমস:
দ্যা ব্রিটিশ স্কুল মস্কেটের এই প্রথম কোন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া হেড গার্ল এবং স্কুল লিডার হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছেন চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের মধ্যম কদলপুর গ্রামের সৈয়দ মতিউল্লাহ মিয়াজির বাড়ির ওমান প্রবাসী এস এম জসিম উদ্দিনের মেয়ে সৈয়দা হেয়াম।
ওমানের ওই স্কুলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১ হাজার ৫০০ শিক্ষাথী পড়ালেখা করে। এরমধ্যে ১৯৭২ সালে ওই স্কুল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই প্রথম বাংলাদেশী ছাত্রী হিসেবে পুরো স্কুলের দেড় হাজার শিক্ষার্থীর লিডার নির্বাচিত হয় সৈয়দা হেয়াম।
সম্প্রতি দ্যা ব্রিটিশ স্কুল মস্কেট জমকালো এক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হেড গার্ল ও স্কুল লিডার সৈয়দা হেয়ামের নেতৃত্বে এ-লেভেল গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২২ স্কুল থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রিটিশ হাই কমিশনার বিল মারে।
উপস্থিত ছিলেন, ওমান এডুকেশন মিনিস্ট্রি’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি,স্কুল কমিটির পরিচালকবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষা অনুরাগী ও অভিভাবকবৃন্দ।
সৈয়দা হেয়াম ২০০৮ সালে ওমানের ওই ব্রিটিশ স্কুলে ভর্তির হন। সেই থেকে দীর্ঘ ১৪ বছর স্কুলটিতে সুনামের সাথে তাঁর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন।
স্কুল জীবনে বাংলাদেশী মেয়ে হেয়ামের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড স্কলারশিপ প্রতিযোগিতায় মালেশিয়া, চায়না, কাতার, ইউ এস এ সহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলে হেয়ামের বিজয়ী হওয়া।
দ্যা ব্রিটিশ স্কুল মস্কেটের লিডার হিসেবে স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও স্টুডেন্ট কাউন্সিল করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে সুনাম অর্জন করেন হেয়াম। দীর্ঘ ১৪ বছরের স্কুল জীবনের সুন্দর পথচলা এবং সু্ন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে সৈয়দা হেয়ামকে অভিনন্দন বানী পাঠান ওই ব্রিটিশ হেড অব স্কুল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেপ্রথম কোনবাংলাদেশে মেয়ে হিসেবে ওমানের ব্রিটিশ স্কুলেকৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা সৈয়দা হেয়াম চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সহ-সভাপতি রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের মধ্যম কদলপুর গ্রামের সৈয়দ মতিউল্লাহ মিয়াজির বাড়ির ওমান প্রবাসী ব্যবসায়ী এস এম জসিম উদ্দিন ও শামীম আকতার দম্পতির বড় মেয়ে। এস এম জসিম উদ্দিন সাবেক বাংলাদেশ সোস্যাইল ক্লাব ওমানের ইলেকটেড এক্সিকিউটিভ হিসেবে ২ বার সাহিত্য সচিব ছিলেন। এছাড়াও প্রায় তিন দশক ধরে তিনি ওমানের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের আহবানে ও বিভিন্ন মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন।
ওমানে তিনি তিন দশক ধরে সুনামের সাথে ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দেশের প্রায় অর্ধশত মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন।
মেধাবী সৈয়দা হেয়াম ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চান।
তাঁর চিকিৎসক হয়ে উঠে মানুষের সেবার একাজে সফল হতে হেয়ামের বাবা মা সকলের দোয়া চেয়েছেন।
