রাউজানটাইমস ডেস্ক :
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম গোলাম সারওয়ারের আদালতে মামলাটি করেন রাউজানের পশ্চিম গুজরার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দৌলা।
বাদীর আইনজীবী সবুজ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম শাহাবুদ্দিন, সুজাতুল ইসলাম, টনি বড়ুয়া, লিটন দে, মো. আনোয়ার ও মোহাম্মদ মাসুদ। তাঁরা ফজলে করিমের সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত বলে জানান বাদী।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি ফজলে করিমের নির্দেশে বাদীকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। ওই সময় বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালান আসামিরা।
পরে বাদীকে দূরে একটি ঘরে আটকে রেখে চুল–দাড়ি কেটে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ফজলে করিমের কাছে পাঠান আসামিরা। এরপর রাতে অস্ত্র-গুলি এনে দেওয়া হয় বাদীকে। পরদিন সকালে পুলিশকে খবর দিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ বাদীকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অস্ত্র মামলায় বাদীকে পাঠানো হয় কারাগারে।
মামলার বাদী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন আসামিরা। পরে তাঁকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। আসামিদের হাত থেকে বাঁচতে চাঁদাও দেন। এরপরও রেহাই পাননি।
সিরাজউদ্দৌলার দাবি, তাঁর মতো রাউজানের শত শত মানুষ ফজলে করিমের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। এত দিন তাঁরা কেউ মুখ খুলতে পারেননি। এখন তাঁরা ফজলে করিমের বিচার চান।
সুত্র : প্রথম আলো