Friday, December 13, 2024
spot_img
Homeবৃহত্তর চট্টগ্রামরাউজানে দুই ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর, হাত পা বেঁধে নদীর চরে...

রাউজানে দুই ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর, হাত পা বেঁধে নদীর চরে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

Spread the love
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের রাউজানে দুই ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের পর মৃত ভেবে নদীর চরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁরা হলেন মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (৩২) ও সাজ্জাদ হোসেন (৩০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
তবে তাঁদের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের বাঁধের গোড়ার মাঝের চর থেকে দুই ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধার করা হয়। কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনার পাশে এই চর অবস্থিত। এ সময় তাঁদের হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল। এর আগে বেলা একটায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে দুজনকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র একটি দল অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়া দুজনের মধ্যে জয়নাল আবেদীন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব ও সাজ্জাদ হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
জয়নালের বাড়ি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়া এবং সাজ্জাদের বাড়ি কচুখাইন গ্রামে। রাজনৈতিক কারণে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা দুজন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।পরিবারের সদস্যরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য ও ইউপি কার্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, দুই ছাত্রদল নেতা জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে ইউপি কার্যালয়ে এসেছিলেন।
১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে দুজনকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। ওখানে চৌধুরীঘাট কূলে নিয়ে দুজনকে হকিস্টিক, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। মারা গেছে ভেবে এই জায়গা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কচুখাইন গ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনায় থাকা মাঝের চরে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত ছাত্রদল নেতা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের বাবা শওকত হোসেন বলেন, অপহরণকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণ চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় পিটিয়ে জখম করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments